লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভার যাত্রা শুরু ২০০০ সালে,৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত, পৌরসভাটির আয়তন১১দশমিক৮৮.বর্গকিলোমিটার। এখানে প্রায় ৪০ হাজার ২৯৩ জন লোকের বসবাস। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২১হাজার ও মহিলা ১৯ হাজার ২৯৩ জন।
বিগত ৫ বছরে সর্বমোট ১২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।বর্তমানে ৬০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। ৬ কোটি টাকার উন্নয়ন মুলক বাজেট জমা পড়েছে। তার মধ্য দুই কোটি টাকার বাজেট ইতিমধ্যে অনুমোদন হয়ে গেছে।১শ ৪ কোটি টাকার এমজিএসপি প্রকল্পের কাজ মাট পর্যায়ে জরিপের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।এছাড়াও ছোটখাটো নানা উন্নয়নমুলক কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।বড় বড় কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ মাঠ পর্যায়ে চলমান রয়েছে।
বর্তমানে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু।২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এ মেয়র জাতীয় পার্টির নাঙ্গল মার্কা প্রতিকের সমর্থিত প্রার্থী আযাদ উদ্দীন চৌধুরীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।বিগত ১৭ সালের জানুয়ারীতে পৌরসভাটি ‘গ’ শ্রেণি থেকে ‘খ’শ্রেণিতে উন্নীত হয়।
রামগতি উপজেলা সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ বিনু জানান, প্রতিষ্ঠার শুরুতে পৌরসভায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বলতে কিছুই ছিল না। বর্তমান মেয়র পৌরসভায় উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছেন। তার হাত ধরেই পৌরসভাটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করেছেন। ড্রেন নির্মাণ করেছেন। পৌরসভার শোভাবর্ধনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ফুলের গাছ লাগানোসহ সড়কবাতির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছেন,তা অচিরেই হবে। তবে পৌরসভায় শিশুদের জন্য কোনো পার্ক নেই। নেই পৌর কবরস্থান। এগুলোর ব্যবস্হা হয়ে যাবে। প্রয়োজন দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো এই জনপ্রিয় নেতাকে নির্বাচিত করা।
আলেকজান্ডার বাজারের ব্যবসায়ী এস এম শামিম বলেন,বর্তমান মেয়র পৌরসভায় ৭৪কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এখনও কয়েক কোটি টাকার প্রকল্প চলমান। পৌরসভায় এখনও অনেক কাজ বাকী আছে। এসব অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে এম মেজবাহ উদ্দিন মেজুর বিকল্প নেই।তাই দলমত নির্বিশেষে বর্তমান মেয়র কে নির্বাচিত করতে তিনি পৌরবাসীর প্রতি আহবান জানান।
দায়িত্ব পালনে সফলতা-ব্যর্থতার কথা জানাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ছিলেন মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার প্রায় ৯০ ভাগ পূরণ করেছি। বাকি প্রতিশ্রুতি মেয়াদ পূরণের আগেই শেষ করতে পারবো বলে আশাবাদী।বাকী আল্লাহর ইচ্ছা।
রাস্তাঘাট, ড্রেন, পুল-কালভার্ট নির্মাণ করেছি। প্রতিটি ওয়ার্ড এবং বাজারের রাস্তা ঢালাই এবং প্রশস্ত করেছি। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাগান তৈরির চেষ্টা চলছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করেছি। জলাবদ্ধতা নিরসন ও মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ অব্যাহত রয়েছে।
পৌরসভায় প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সেবা পেতে পৌরবাসীকে কোনো হয়রানির শিকার হতে হবেনা । জনগনের সহযোগিতায় ও নির্দেশনায় এ পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।’
মেয়র বলেন, পৌরসভায় চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন কাজ করেছি। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, পৌরবাসী কাজের মূল্যায়ন করবে।’
ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘নানা পদক্ষেপ নিয়ে পৌরসভাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পেরেছি। তারপরও কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে ক্ষমা করা হবে না।’
অবৈধ দখলদারিত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পৌরসভায় খাসজমি কারও দখলে নেই। খাল ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হবে।’
কর আদায় প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, পৌরবাসী নিয়মিত কর পরিশোধ করছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখে তারা কর প্রদানে উৎসাহী হয়েছেন।
তিনি বলেন,সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি,বাল্য বিবাহ ও যৌন হয়রানি বন্ধে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সভা, সেমিনার করে জনগণকে সচেতন করছি। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে। শিগগিরই অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।’
শিক্ষার মানোন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নেয়া উদ্যোগ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন,শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। পৌরবাসী যেন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসক উপস্থিতি নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
পৌরসভা নিয়ে আগামী দিনের ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু বলেন, ‘দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অবহেলিত রামগতি পৌরবাসীকে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভায় রূপ দিতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস,আমি যে কাজ করেছি তাতে পৌরবাসী সন্তুষ্ট।রামগতি পৌরসভাকে একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছি।কোন নাগরিক বা ভোটার হয়রানির শিকার হয়ে এখন থেকে পিরে যাননি।ভবিষ্যতে ও রামগতি পৌরসভা সকল নাগরিকদের জন্য সব সময় উম্মুক্ত থাকবে।একজন সেবক হিসেবে পৌরবাসীর সেবা করতে চাই। মেয়র বলেন আমার বাকী জিবনটা আমি রামগতিবাসীর খিদমত করে কাটাতে চাই।এই লক্ষ্যে নাগরিকদের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করি।
পৌরবাসী জানায় মেয়রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রামগতি পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে জনগন তাকে আবারো মুল্যায়ন করবে বলে আশাবাদী তারা।বর্তমান মেয়র আওয়ামীলীগের ত্যাগী ও দুঃস্বসময়ের পরিক্ষিত নেতা। এই রামগতিতে আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের গর্বিত শন্তান তিনি।রামগতির উন্নয়নে সবসময় আন্তরিকতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু।